PUSPITA SAHA
1 ST SEM (2024- 2026)
1 ST SEM (2024- 2026)

বাঙালি ভ্রমণের বিষয়ে বরাবরই আবেগী। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। হঠাৎ একদিন
পূর্বপরিকল্পনা ছাড়াই আমরা স্বপরিবারে বেরিয়ে পড়ি জগন্নাথ দর্শনে। সেদিন ছিল ৫ই
সেপ্টেম্বর (২০২৩ ) বৃহস্পতিবার। কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে ব্যাগ গোছানোর তোড়জোড় দেখে চমকে
উঠি। যেমন ভাবনা তেমন কাজ আমিও সবার সাথে তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম । সন্ধ্যায় দত্তপুকুর
থেকে বাস ছাড়লো। কিছুদূর যাওয়ার পর কোলাঘাটের একটি ধাবায় গিয়ে দাঁড়ায় বাসটি। ততক্ষণে
আমার বাড়ির সবাই আর বাসের সমস্ত যাত্রীরা যেনো মিলেমিশে একাকার হয়ে একটা নতুন পরিবার
সৃষ্টি হয়েছে। রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবার বাসটি তার নিজের পথে চলতে শুরু করলো।
তারপর নন্দন কানন, উদয়গিরি, খণ্ডগিরি, ধবলগিরি ঘুরে কোনারকের সূর্য মন্দিরে বাস থামে।
ততক্ষণে গোটা একটা দিন পেরিয়ে গেছে। তারপর শনিবার (৭ই সেপ্টেম্বর) ভোরে আমরা পুরীতে
পৌঁছাই। একটি হোটেল বুক করা হল। স্নান সেরে আমরা বেড়িয়ে পরি জগন্নাথ দর্শনে। সেখানে
আমাদের নতুন পরিবারের সকলেই ছিল। জগন্নাথদেব এর আশীষে নিমেশেই সকল ক্লান্তি উবে
গেল। মন্দিরে ঢুকতেই দলে দলে পান্ডারা এসে বলতে লাগলো আমরা যেন তাদের সাথেই পূজো দিতে
যাই। জগন্নাথদেবকে দর্শন করতেই শরীর যে শিহরিত হয়ে উঠলো, এমনটা আগে কখনো হয়নি
মনটা শান্ত হয়ে গেল, অপলকে তাকিয়ে রইলাম। হঠাৎ পেছন থেকে একজন বলে উঠলো " তাড়াতাড়ি
করুন, তাড়াতাড়ি করুন " আমার চেতনা ফিরলো। একজন সিদ্ধপুরুষের কাছ থেকে জানতে পারলাম
জগন্নাথদেবের মাহাত্ম্যের কথা, ৫৬ ভোগ-এর কথা, তার লীলা কাহিনী, সবই তো শুনলাম তবে
ভোগের কথাটাই যেন বেশি করে মনে ধরল। ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে অনেক কষ্টে ভোগ পেলাম।
হোটেলে এসে একটা পাকা ঘুম দিই। সেদিন আর তেমন কোথাও না গেলেও সকলের আনাগোনা কিন্তু
সমুদ্রের তীরেই ছিল। পরদিন ভোরে সূর্যোদয় দেখে রওনা দিলাম চিলকার পথে। সেখানে পরিচয় হল
ডলফিন, কাঁকড়া, চিংড়ি আর কিছু পরিযায়ী পাখিদের সাথে। তারপর একে একে কালিজাই দ্বীপ,
নলবান দ্বীপ, হনুমান দ্বীপ ঘুরে, একটু নৌকায় চড়ে ফিরে আসি হোটেলে। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও
ফটো তুলতে, ভিডিও বানাতে একটুও ভুল হয়নি কারোর। ৯ ই সেপ্টেম্বর (সোমবার ) সারাদিন
সমুদ্রকে ঘিরে স্নান- ঘোরাঘুরি সমস্তটাই। রাতেই বাড়ি ফেরার বাস ছাড়ালো। সবাই ফিরলাম ঠিকই
কিন্তু মন পড়ে রইল জগন্নাথ দেবের কাছে। এরপর দিন, মাস,বছর কেটে গেলেও স্মৃতির পাতায়
পূর্বপরিকল্পনা ছাড়াই আমরা স্বপরিবারে বেরিয়ে পড়ি জগন্নাথ দর্শনে। সেদিন ছিল ৫ই
সেপ্টেম্বর (২০২৩ ) বৃহস্পতিবার। কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে ব্যাগ গোছানোর তোড়জোড় দেখে চমকে
উঠি। যেমন ভাবনা তেমন কাজ আমিও সবার সাথে তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম । সন্ধ্যায় দত্তপুকুর
থেকে বাস ছাড়লো। কিছুদূর যাওয়ার পর কোলাঘাটের একটি ধাবায় গিয়ে দাঁড়ায় বাসটি। ততক্ষণে
আমার বাড়ির সবাই আর বাসের সমস্ত যাত্রীরা যেনো মিলেমিশে একাকার হয়ে একটা নতুন পরিবার
সৃষ্টি হয়েছে। রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবার বাসটি তার নিজের পথে চলতে শুরু করলো।
তারপর নন্দন কানন, উদয়গিরি, খণ্ডগিরি, ধবলগিরি ঘুরে কোনারকের সূর্য মন্দিরে বাস থামে।
ততক্ষণে গোটা একটা দিন পেরিয়ে গেছে। তারপর শনিবার (৭ই সেপ্টেম্বর) ভোরে আমরা পুরীতে
পৌঁছাই। একটি হোটেল বুক করা হল। স্নান সেরে আমরা বেড়িয়ে পরি জগন্নাথ দর্শনে। সেখানে
আমাদের নতুন পরিবারের সকলেই ছিল। জগন্নাথদেব এর আশীষে নিমেশেই সকল ক্লান্তি উবে
গেল। মন্দিরে ঢুকতেই দলে দলে পান্ডারা এসে বলতে লাগলো আমরা যেন তাদের সাথেই পূজো দিতে
যাই। জগন্নাথদেবকে দর্শন করতেই শরীর যে শিহরিত হয়ে উঠলো, এমনটা আগে কখনো হয়নি
মনটা শান্ত হয়ে গেল, অপলকে তাকিয়ে রইলাম। হঠাৎ পেছন থেকে একজন বলে উঠলো " তাড়াতাড়ি
করুন, তাড়াতাড়ি করুন " আমার চেতনা ফিরলো। একজন সিদ্ধপুরুষের কাছ থেকে জানতে পারলাম
জগন্নাথদেবের মাহাত্ম্যের কথা, ৫৬ ভোগ-এর কথা, তার লীলা কাহিনী, সবই তো শুনলাম তবে
ভোগের কথাটাই যেন বেশি করে মনে ধরল। ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে অনেক কষ্টে ভোগ পেলাম।
হোটেলে এসে একটা পাকা ঘুম দিই। সেদিন আর তেমন কোথাও না গেলেও সকলের আনাগোনা কিন্তু
সমুদ্রের তীরেই ছিল। পরদিন ভোরে সূর্যোদয় দেখে রওনা দিলাম চিলকার পথে। সেখানে পরিচয় হল
ডলফিন, কাঁকড়া, চিংড়ি আর কিছু পরিযায়ী পাখিদের সাথে। তারপর একে একে কালিজাই দ্বীপ,
নলবান দ্বীপ, হনুমান দ্বীপ ঘুরে, একটু নৌকায় চড়ে ফিরে আসি হোটেলে। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও
ফটো তুলতে, ভিডিও বানাতে একটুও ভুল হয়নি কারোর। ৯ ই সেপ্টেম্বর (সোমবার ) সারাদিন
সমুদ্রকে ঘিরে স্নান- ঘোরাঘুরি সমস্তটাই। রাতেই বাড়ি ফেরার বাস ছাড়ালো। সবাই ফিরলাম ঠিকই
কিন্তু মন পড়ে রইল জগন্নাথ দেবের কাছে। এরপর দিন, মাস,বছর কেটে গেলেও স্মৃতির পাতায়
শিলালিপি হয়ে থেকে যায় সেই মুহূর্গুলি।